শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন
মোঃ নুরুন্নবী- পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের দ্রুত মুক্তির দাবিতে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্বর থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোর্ট মোড়, অনন্ত মোড়, মুজাহিদ ক্লাব হয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এর আগে সকাল ৯ টা থেকে বিভিন্ন উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন শাখা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে শহীদ চত্বরে। আজহারুল ইসলামের মুক্তি সম্বলিত ব্যানার -প্লেকার্ড পদর্শন করা হয়।
পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় পাবনা বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মী মুক্তি পেয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি লুৎফুর রহমান বাবর মুক্তি পেয়েছে। তারেক রহমানও মুক্তি পেয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত। তবে এখনো জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি না পাওয়া দু:খজনক। বর্তমান সরকারের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও মজলুম এ জননেতার মুক্তি মেলেনি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি অবিলম্বে আমাদের নেতাকে মুক্তি দিন। তাছাড়া দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
খুনি হাসিনা পালিয়ে গেছে। তার ভূয়া ট্রাইব্যুনালের মিথ্যা মামলা ৬ মাস কোনভাবেই টিকতে পারে না। বর্তমান সরকার সংস্কার করে দেশে নির্বাচন উপহার দিবে। আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষ সহযোগীতা করব। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্য মূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আহবান জানান।
এসময় আরও বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন, সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম, বগুড়া অঞ্চল পরিচালক টিমের সদস্য নজরুল ইসলাম, বেড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আব্দুল বাছেত খান, পাবনা পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ , সদর আমীর আব্দুর রব, সাবেক আমীর অধ্যাপক রকিব উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল আইনুল প্রমুখ।